নারায়ণগঞ্জ এক্সপ্রেসঃ জনপ্রিয় সংগীত তারকা এন্ডু কিশোর আর নেই। আজ সন্ধ্যায় তিনি রাজশাহী মহানগরীতে তার বোনের ক্লিনিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গতবছরের জুন জুলাইয়ের দিকে এই জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীর শরীরে ক্যান্সারের অস্তিত্ব ধরা পরে।ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য গত অক্টোম্বরে তিনি সিংগাপুরের সিংগাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা শেষে গত ১১ই জুন রাতে দেশে আসেন। দেশে আসার পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহীতে তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাস ও বোন জামাই প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসের ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে শুরু করেন।
গতকাল বিকেল থেকে হঠাৎ তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় তাকে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল রাতে তার ফেসবুক পেজে তার স্ত্রী তার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এন্ডু কিশোরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাজশাহীতে। সেখানেই কেটেছে তার কৈশোর ও শৈশব। তার সংগীত জগতের হাতে খড়ি এই রাজশাহীরই ওস্তাদ আব্দুল আজিজ বাচ্চুর কাছে। এরপর সংগীতের টানে তিনি চলে আসেন ঢাকায়।
১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রে অচীনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ গানে কন্ঠ দেওয়ার মধ্য দিয়ে তার প্লেব্যাক সংগীতের যাত্রা শুরু হয়। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। কন্ঠ দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গানে। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- জীবনের গল্প – আছে বাকি অল্প, ডাক দিয়েছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, ওগো বিদেশিনী, তুমি মোর জীবনের ভাবনা, হায়রে মানুষ – রঙিন ফানুস, আমি চিরকাল প্রেমেরও কাঙাল, আমার বুকের মধ্যেখানে, প্রথম যেদিন বাবার মুখে শুনেছিলাম গান প্রভৃতি।
সংগীত ভুবনে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই প্লেব্যাক কিং নামে খ্যাত এন্ডু কিশোর।

না ফেরার দেশে কিংবদন্তী শিল্পী এন্ডু কিশোর
শেয়ার করুন